নারায়ণগঞ্জ প্রতিনি‌ধি:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচ‌নে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ২৩৭টি আসনের চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা নি‌য়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তৃনমূ‌লের মা‌ঝে তৈ‌রি হ‌য়ে‌ছে ক্ষোভ হতাশা। সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ‌্যমে হতাশা ব‌্যক্ত ক‌রে অ‌নে‌কেই পোস্ট ক‌রেছে। ত‌বে, অ‌নে‌কের সা‌থে আলাপ ক‌রে জানা গে‌ছে, দলীয় হাই কমান্ডের ব‌হিস্কা‌রের ম‌তো ব‌্যবস্থা নেয়ার ভ‌য়ে কেউ প্রকাশ‌্য মুখ খুল‌ছেন না।

পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন এখনো ঘোষণা করা হয়নি, ফলে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে নানা আলোচনা–সমালোচনা।

ঘোষিত চার প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ ১ দিপু ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ ২ নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ ৩ মান্নান ও নারায়ণগঞ্জ ৫ মাসুদুজ্জামান।

তাদের নাম ঘোষণার পরপরই জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটে আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ ও অভিনন্দনের হিড়িক পড়ে যায়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ম‌নোনয়প্রাপ্ত প্রার্থী‌দের সর্মথক ও নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করে নির্বাচনী এলাকা স্লোগানে মুখর করে তোলে।

তবে অন্যদিকে, মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্যে দেখা গেছে গভীর হতাশা ও ক্ষোভ। দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় থাকা নেতারা যেমন সা‌বেক সংসদ সদস‌্য গিয়াস উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, রেজাউল করিম, কাজী মনিরুজ্জামান এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএন‌পির আহবায়ক আ‌্যাড. সাখাওয়াত হো‌সেন খান, সদস‌্য স‌চিব আ‌্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু সহ অসংখ্য মনোনয়ন প্রত্যাশী বঞ্চিত হওয়ায় তাদের অনুসারীরা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মনোনয়ন বণ্টনের ন্যায্যতা নিয়ে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির এই মনোনয়ন কাঠামো দলীয় ভারসাম্য রক্ষা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখলেও বঞ্চিতদের ক্ষোভ মোকাবিলাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন বিলম্বে জেলাজুড়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে—কাকে বেছে নেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব?

৩ নভেম্বর ঘোষিত এই তালিকার পর নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি এখন উত্তেজনা, আনন্দ ও হতাশার মিশ্র আবহে উত্তপ্ত। কেউ ব্যস্ত আনন্দ মিছিলে, আবার কেউ নীরব প্রতীক্ষায়—পরবর্তী ঘোষণার দিকে তাকিয়ে।